বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১২

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব


কাপ্তাই রেশম গবেষনা কেন্দ্র পুরোদরম চালু করা গেলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব






বার্তা লাইভ ২৪ ডটকম,মাহফুজ আলম, কাপ্তাই(২২ মার্চ): 

কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত চন্দ্রঘোনায় সম্ভাবনাময় আঞ্চলিক রেশম গবেষনা কেন্দ্রটি পুরোদমে চালু করা গেলে, অল্প সময়ের ব্যাবধানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সহজ হতে পারে। পার্বত্য কাপ্তাইয়ের গরীব দুঃখী মানুষগুলো সল্প আয়ের বিনিময়ে শ্রম দিতে আগ্রহী। শ্রমিকদের যথাসময়ে অল্প খরচের বিনিময়ে কাজে লাগিয়ে রেশম গবেষনা কেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু করার সুযোগ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও পার্বত্য কাপ্তাইয়ের পাহাড়ী মাটি, জলবায়ু ও আর্থসামাজিক অবস্থা পুরোপুরি অনুকুলে থাকা অবস্থায় কাপ্তাই এলাকায় চন্দ্রঘোনা রেশম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এই সুযোগকে কাজে লাগহাতে পারলে চন্দ্রঘোনা আঞ্চলিক গবেষনা কেন্দ্র থেকে রেশম চাষের উজ্বল সম্ভাবনা কাজে লাগবে। বিশেষ করে পার্বত্য কাপ্তাই অঞ্চলের চন্দ্রঘোনায় তুঁত ও অতুঁত রেশম চাষের অনুকুল পরিবেশ রয়েছে। রেশম গবেষনা কেন্দ্রটি রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই নিরীহ-গরীব ও বেকার। তাই রেশম গবেষনা কেন্দ্রটি চালু করে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থার পাশাপাশি পুরোদমে চালু করা গেলে পর্যাপ্ত বৈদেশিক অর্জন করার সুয়োগ সৃষ্টির পাশাপাশি সরকারও বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় পাবে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধিপাবে তুঁত ও অতুঁত থেকে রেশম উৎপাদন। এই রেশম উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের চাহিদা পুরণ করে বিদেশেও রেশম রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সম্ভাবনার সুযোগ রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা আঞ্চলিক গবেষনা কেন্দ্রটি তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান সরকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার সরাসরি নিয়ন্ত্রনাধীন ১৯৬২ সালে রেশম বীজাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এর পর রেশম বীজাগারটি বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের আওতায় বীজ বর্ধন ও পুলুর মাতৃ পিতৃজাত (পিতৃ) রক্ষনাবেক্ষনের কাজে ব্যাবহৃত হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে সরকারী এক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের নিয়ন্ত্রনাধীন কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা রেশম বীজাগারটিকে বাংলাদেশ রেশম গবেষনা ও প্রশিক্ষন ইন্সটিটিউটের (বিএসআরটিআই) অধিরে ন্যাস্ত করেচন্দ্রঘোনা আঞ্চলিক রেশম গবেষনাগারে রুপান্তরিত করে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন