বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন৷
| |||||||||||||||||||||
যেহেতু বিদ্যমান রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে একটি সংবিধিবদ্ধ স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:- | |||||||||||||||||||||
সূচী | |||||||||||||||||||||
ধারাসমূহ | |||||||||||||||||||||
১৷ সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন | |||||||||||||||||||||
২৷ সংজ্ঞা | |||||||||||||||||||||
৩৷ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা | |||||||||||||||||||||
৪৷ প্রধান কার্যালয় | |||||||||||||||||||||
৫৷ পরিচালনা ও প্রশাসন | |||||||||||||||||||||
৬৷ পরিচালনা বোর্ড ও ইহার গঠন | |||||||||||||||||||||
৭৷ সদস্যের মেয়াদ | |||||||||||||||||||||
৮৷ সদস্যের অযোগ্যতা | |||||||||||||||||||||
৯৷ ইনস্টিটিউট এর কার্যাবলী | |||||||||||||||||||||
১০৷ পরিচালক | |||||||||||||||||||||
১১৷ বোর্ডের সভা | |||||||||||||||||||||
১২৷ কমিটি | |||||||||||||||||||||
১৩৷ নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা | |||||||||||||||||||||
১৪৷ চেয়ারম্যান-এর বিশেষ ক্ষমতা | |||||||||||||||||||||
১৫৷ ইনস্টিটিউটের তহবিল | |||||||||||||||||||||
১৬৷ ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা | |||||||||||||||||||||
১৭৷ কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ | |||||||||||||||||||||
১৮৷ বার্ষিক বাজেট বিবরণী | |||||||||||||||||||||
১৯৷ হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা | |||||||||||||||||||||
২০৷ হিসাব বিবরণী, ইত্যাদি | |||||||||||||||||||||
২১৷ ক্ষমতা অর্পণ | |||||||||||||||||||||
২২৷ দায়মুক্তি | |||||||||||||||||||||
২৩৷ বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা | |||||||||||||||||||||
২৪৷ প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা | |||||||||||||||||||||
২৫৷ রহিতকরণ ও হেফাজত সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন ঃ
|
শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১২
বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১২
রেশমের সুদিন ফিরে এসেছে
রেশমের সুদিন ফিরে এসেছে
খাসজমি রেশম চাষের আওতায় আনার দাবি
মোঃ সালাউদ্দিন )( ভোলাহাট [ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ] :: রেশমের সুদিন ফিরে আসলেও দেশের শতকরা ৭৫ ভাগ কাঁচা রেশম উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে রেশমের রাজধানী ও রেশমের প্রাচীন নগরী নামে পরিচিত ঐতিহ্যবাহী ভোলাহাট উপজেলার রেশমচাষীরা রেশম চাষে আগ্রহী হলেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে রেশম চাষে ফিরে আসতে পারছে না।
৯০-এর দশকে সরকারের আত্মঘাতী ভ্রান্তনীতির কারণে তথা উদার বাজার অর্থনীতির ধাক্কায় এ অঞ্চলের রেশম চাষ মুখ থুবড়ে পড়ে । বিদেশী রেশম সূতা শুল্কমুক্তভাবে দেশের বাজারে প্রবেশ করায় পুরো রেশমের বাজার চলে যায় বিদেশী রেশম সুতার হাতে। আর দেশী রেশম সুতা গুণ, মান ও কম মূল্যের কারণে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে মূল বলয় হতে ছিটকে পড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। রেশম চাষীরা বাধ্য হয়ে চৌদ্দ পুরুষের পেশা রেশম চাষ ছেড়ে অনাহার, অর্ধাহার ও ঋণগ্রস্ত হয়ে চলে যায় অন্য পেশায়। ফলে মূল্যবান তুঁত জমিগুলো পরিণত হয় আম বাগান ও সবজির জমিতে। সে সময় রেশম গুটির মূল্য সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে সর্ব নিম্ন দর মণপ্রতি মাত্র দেড় হাজার টাকায় নেমে আসে। ফলে দেশীয় রেশম শিল্পের ঘটে সর্বনাশ। আজ প্রায় ২০ বছর ব্যবধানে সেই ধ্বংস প্রাপ্ত রেশম শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিদেশী রেশম সূতায় পর্যাপ্ত করারোপ করায় দেশী রেশম সূতার যেমন মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, সে সাথে কদরও। বর্তমানে প্রতি মণ রেশম গুটি ৯-১০ হাজার টাকা মণ দরে ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। তা দেখে আদি রেশম চাষীরা আবারো আগ্রহী হয়ে উঠেছে রেশম চাষে। ঘর মুখো হয়ে আবারো ফিরতে চায় রেশম চাষে।
একেতো মূল্য বৃদ্ধি তার ওপর ইতোপূর্বে ১০০ ডিম বীজ পালন করে যেখানে ২৫-৩০ কেজি গুঁটি হতো, সেই স্থানে রিসার্চ এ্যাকশন প্ল্যান উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন ও আধুনিক পলু পালনে প্রশিক্ষণ দিয়ে বর্তমানে ১০০ ডিম বীজে উৎপাদন করছে ৭৫ হতে ৮০ কেজি। এর মূল্য প্রায় ১৫ হতে ২০ হাজার টাকা। সে হিসেবে বর্তমানে রেশম বোর্ডের তথ্যানুযায়ী এক বিঘে জমিতে ৩০০ ডিম বীজ পালন করে একটি মৌসুমে সহজেই ১৮০-২৪০ কেজি কাঁচা রেশম বা রেশম গুটি উৎপাদন করা সম্ভব। সে হিসেবে বছরে চারটি রেশম মৌসুমে এক বিঘে জমি হতে ৭২০ হতে ৯৬০ কেজি রেশমগুটি উৎপাদন সম্ভব। এর মূল্য প্রচলিত বাজারে দাড়ায় ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। যা অন্য কোনো ফসলে এক বিঘে জমি হতে বছরে এত টাকা আয় করা সম্ভব নয়।
এ দিক লক্ষ্য রেখে ভোলাহাটের সুনিপুন আদী ও অকৃত্রিম হাজারো রেশম চাষী আবারো রেশম চাষে আগ্রহী। কিন্তু তুঁত চাষ উপযোগী জমি পাওয়া যাচ্ছে না। যেহেতু তুঁত জমিগুলো আম বাগানে পরিণত হয়েছে, তা বিনিষ্ট করা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে রেশম চাষীরা পড়েছে উভয় সংকটে। রেশম চাষীদের দাবী ১৯৪৭ এর পরবর্তী সময়ে মহানন্দা নদীর সর্বনাশা ভাঙ্গনে প্রায় ২৬২ একর মূল্যবান তুঁত জমি পর্যায়ক্রমে নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায়। ভেঙ্গেছে এপার আর গড়েছে ওপার। তাই ভারত সীমানা জুড়ে জেগে উঠেছে বিশাল চর। এটি বর্তমানে উঁচু জমিতে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ ৬৫ বছর উক্ত চরের জমি ভারত পর্যায়ক্রমে কুক্ষীগত ও ভোগ দখল করে আসছিল। ২০০৮ সালে আপোসে উভয় দেশের জরীপ ও সীমান্ত রক্ষীদের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণের পর ২০১১ সালে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ ওই চরের অধিকার ফিরে পেয়েছে। ভোলাহাটের আম জনতা, হাজারো আদি রেশম চাষী ও বোর্ড কর্তৃপক্ষ উক্ত নদী শিতস্তী চরের জমি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকৃত আদী প্রান্তিক রেশম চাষীদের খন্ডকালীন মেয়াদী লীজের মাধ্যমে প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসক এবং রেশম বোর্ড বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েছে। রেশম চাষীদের অভিমত উক্ত বিষয় বাস্তবায়ন করলে আবারো রেশমের সুদিন ফেরে আসবে। অর্থনৈতিক সাবলম্বি, বেকারত্ব লাঘব ও অধিকতর বেকার নারীর কর্মসংস্থান হবে। রেশম শিল্পে স্বনির্ভর হবে দেশ। রেশম বহু উৎপাদন মুখী একটি কৃষি ভিত্তিক শিল্প। এর একদিক (ডিম হতে গুটি উৎপাদন পর্যন্ত) কৃষি ভিত্তিক এবং গুটি হতে বস্ত্র উৎপাদন পর্যন্ত শিল্প ভিত্তিক। রেশম শিল্পে ফেলানা বা ওয়েস্টেজ বলতে কিছু নেই। এর রেশম তুঁত পাতার উচ্ছিষ্টাংশ ডাটা হতে আসে জ্বালানী ও গো খাদ্য, রেশম গুটি হতে আসে ওয়েস্টেজ । ওয়েস্টেজ হতে আসে লাট, ঝুট, গেঁটে। এ ওয়েস্টেজও ফেলানা নয়। ওই ওয়েস্টেজ হতে আসে মটকা স্পান সিল্ক বা খাদী, যা মহিলারা টাকু ও চরকার সাহায্যে আরেক ধরণের সুতা উৎপাদন করে থাকে। রেশম কীটের মলমূত্র থেকে আসে উন্নতমানের জৈব সার। রেশম গুটির মথ হতে আসে উৎকৃষ্ট মানের গবাদী পশু ও হাঁসমুরগীর খাবার।
তাই রেশম শিল্প গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি আর্শিবাদ। এ শিল্পে বেকারত্ব থাকে না। পঙ্গু মানুষও রেশম চাষের সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম। তাই রেশম চাষ পুঁজি বিহীন আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে সহায়ক এবং আত্মমর্যাদা ও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বি হবার বিশেষতঃ মহিলাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অন্যতম প্রধান উপাদান। দেশ ও বিদেশে রেশম চাহিদা প্রচুর। বর্তমানে দেশে প্রতিবছর রেশমের চাহিদা ৩০০ মেঃ টন। বর্তমানে উৎপাদিত হচ্ছে ৫০ মেঃ টন। বাকী রেশম সুতা আমদানী করতে হচ্ছে বিদেশ হতে। দেশে ব্যাপক হারে রেশম চাষের ক্ষেত্র সৃষ্টি হলে দেশের চাহিদা মিটিয়েও প্রচুর পরিমাণ রেশম বস্ত্র বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা অতুজ্জ্বল বলে মতামত দিয়েছেন সিল্ক ম্যানুফ্যাকচার এন্ড এক্সপোট এ্যাশোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেমাব) এর সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন। তিনি ভোলাহাটের রেশম চাষীদের সাথে এ বিষয়ে একমত এবং তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালের পর মহানন্দা নদীর গর্ভে বহু মূল্যবান তুঁত জমি বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে ওই সমস্ত জমি জেগে উঠেছে মহানন্দার অপর পাড়ে ভারত সীমানা ঘেঁষে। দীর্ঘ ৬৫ বছর ভারত ওই সমস্ত চরের জমি একতরফাভাবে ভোগ দখল করে আসছিল। বর্তমানে উক্ত জমি ২০১১ সালে ভারতের নিকট থেকে বাংলাদেশ বুঝে পেয়েছে। ২৬২ একর এলাকা বিশিষ্ট সুবিশাল ওই চরে রেশম চাষ করলে ভোলাহাটে আবারো রেশমের সুদিন ফিরে আসবে। মুছে যাবে বেকারত্বের গ্লানি। ঘুচ যাবে অর্থনৈতিক দৈন্যতা। স্বাবলম্বি হবে এলাকাবাসী। দেশ হবে রেশম শিল্পে আত্মনির্ভরশীল। শুধু তাই নয় বিদেশেও রেশম বস্ত্র রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক অর্থ আয় করা সম্ভব। তিনি মহানন্দা চরের রেশম চাষ উপযোগী ওই জমিগুলো প্রকৃত ও আদী রেশম চাষীদের মেয়াদী ও খন্ড মেয়াদের লীজ দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে রেশম বোর্ড চেয়ারম্যান সুনীল চন্দ্র পালও একমত এবং রেশম চাষ সম্প্রসারণের জন্য তিনি জেলা প্রশাসক বরাবরে রেশম চাষীদের লিখিত আবেদনটি পাঠিয়েছেন বলে জানান। রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটউট এর পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া ও এ বিষয়ে একমত পোষন করেন।তিনি বলেন পার্বত্য পট্টগ্রাম এর বিস্তির্ন পতিত জমি অনাবাদী পড়ে আছে।সেসকল জমি রেশম চাষের আওতায় আনা গেলে এ দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে অতিরিক্ত রেশম বিদেশে রপ্তানী করার মত সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে ।
একেতো মূল্য বৃদ্ধি তার ওপর ইতোপূর্বে ১০০ ডিম বীজ পালন করে যেখানে ২৫-৩০ কেজি গুঁটি হতো, সেই স্থানে রিসার্চ এ্যাকশন প্ল্যান উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন ও আধুনিক পলু পালনে প্রশিক্ষণ দিয়ে বর্তমানে ১০০ ডিম বীজে উৎপাদন করছে ৭৫ হতে ৮০ কেজি। এর মূল্য প্রায় ১৫ হতে ২০ হাজার টাকা। সে হিসেবে বর্তমানে রেশম বোর্ডের তথ্যানুযায়ী এক বিঘে জমিতে ৩০০ ডিম বীজ পালন করে একটি মৌসুমে সহজেই ১৮০-২৪০ কেজি কাঁচা রেশম বা রেশম গুটি উৎপাদন করা সম্ভব। সে হিসেবে বছরে চারটি রেশম মৌসুমে এক বিঘে জমি হতে ৭২০ হতে ৯৬০ কেজি রেশমগুটি উৎপাদন সম্ভব। এর মূল্য প্রচলিত বাজারে দাড়ায় ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। যা অন্য কোনো ফসলে এক বিঘে জমি হতে বছরে এত টাকা আয় করা সম্ভব নয়।
এ দিক লক্ষ্য রেখে ভোলাহাটের সুনিপুন আদী ও অকৃত্রিম হাজারো রেশম চাষী আবারো রেশম চাষে আগ্রহী। কিন্তু তুঁত চাষ উপযোগী জমি পাওয়া যাচ্ছে না। যেহেতু তুঁত জমিগুলো আম বাগানে পরিণত হয়েছে, তা বিনিষ্ট করা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে রেশম চাষীরা পড়েছে উভয় সংকটে। রেশম চাষীদের দাবী ১৯৪৭ এর পরবর্তী সময়ে মহানন্দা নদীর সর্বনাশা ভাঙ্গনে প্রায় ২৬২ একর মূল্যবান তুঁত জমি পর্যায়ক্রমে নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায়। ভেঙ্গেছে এপার আর গড়েছে ওপার। তাই ভারত সীমানা জুড়ে জেগে উঠেছে বিশাল চর। এটি বর্তমানে উঁচু জমিতে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ ৬৫ বছর উক্ত চরের জমি ভারত পর্যায়ক্রমে কুক্ষীগত ও ভোগ দখল করে আসছিল। ২০০৮ সালে আপোসে উভয় দেশের জরীপ ও সীমান্ত রক্ষীদের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণের পর ২০১১ সালে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ ওই চরের অধিকার ফিরে পেয়েছে। ভোলাহাটের আম জনতা, হাজারো আদি রেশম চাষী ও বোর্ড কর্তৃপক্ষ উক্ত নদী শিতস্তী চরের জমি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকৃত আদী প্রান্তিক রেশম চাষীদের খন্ডকালীন মেয়াদী লীজের মাধ্যমে প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসক এবং রেশম বোর্ড বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েছে। রেশম চাষীদের অভিমত উক্ত বিষয় বাস্তবায়ন করলে আবারো রেশমের সুদিন ফেরে আসবে। অর্থনৈতিক সাবলম্বি, বেকারত্ব লাঘব ও অধিকতর বেকার নারীর কর্মসংস্থান হবে। রেশম শিল্পে স্বনির্ভর হবে দেশ। রেশম বহু উৎপাদন মুখী একটি কৃষি ভিত্তিক শিল্প। এর একদিক (ডিম হতে গুটি উৎপাদন পর্যন্ত) কৃষি ভিত্তিক এবং গুটি হতে বস্ত্র উৎপাদন পর্যন্ত শিল্প ভিত্তিক। রেশম শিল্পে ফেলানা বা ওয়েস্টেজ বলতে কিছু নেই। এর রেশম তুঁত পাতার উচ্ছিষ্টাংশ ডাটা হতে আসে জ্বালানী ও গো খাদ্য, রেশম গুটি হতে আসে ওয়েস্টেজ । ওয়েস্টেজ হতে আসে লাট, ঝুট, গেঁটে। এ ওয়েস্টেজও ফেলানা নয়। ওই ওয়েস্টেজ হতে আসে মটকা স্পান সিল্ক বা খাদী, যা মহিলারা টাকু ও চরকার সাহায্যে আরেক ধরণের সুতা উৎপাদন করে থাকে। রেশম কীটের মলমূত্র থেকে আসে উন্নতমানের জৈব সার। রেশম গুটির মথ হতে আসে উৎকৃষ্ট মানের গবাদী পশু ও হাঁসমুরগীর খাবার।
তাই রেশম শিল্প গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি আর্শিবাদ। এ শিল্পে বেকারত্ব থাকে না। পঙ্গু মানুষও রেশম চাষের সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম। তাই রেশম চাষ পুঁজি বিহীন আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে সহায়ক এবং আত্মমর্যাদা ও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বি হবার বিশেষতঃ মহিলাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অন্যতম প্রধান উপাদান। দেশ ও বিদেশে রেশম চাহিদা প্রচুর। বর্তমানে দেশে প্রতিবছর রেশমের চাহিদা ৩০০ মেঃ টন। বর্তমানে উৎপাদিত হচ্ছে ৫০ মেঃ টন। বাকী রেশম সুতা আমদানী করতে হচ্ছে বিদেশ হতে। দেশে ব্যাপক হারে রেশম চাষের ক্ষেত্র সৃষ্টি হলে দেশের চাহিদা মিটিয়েও প্রচুর পরিমাণ রেশম বস্ত্র বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা অতুজ্জ্বল বলে মতামত দিয়েছেন সিল্ক ম্যানুফ্যাকচার এন্ড এক্সপোট এ্যাশোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেমাব) এর সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন। তিনি ভোলাহাটের রেশম চাষীদের সাথে এ বিষয়ে একমত এবং তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালের পর মহানন্দা নদীর গর্ভে বহু মূল্যবান তুঁত জমি বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে ওই সমস্ত জমি জেগে উঠেছে মহানন্দার অপর পাড়ে ভারত সীমানা ঘেঁষে। দীর্ঘ ৬৫ বছর ভারত ওই সমস্ত চরের জমি একতরফাভাবে ভোগ দখল করে আসছিল। বর্তমানে উক্ত জমি ২০১১ সালে ভারতের নিকট থেকে বাংলাদেশ বুঝে পেয়েছে। ২৬২ একর এলাকা বিশিষ্ট সুবিশাল ওই চরে রেশম চাষ করলে ভোলাহাটে আবারো রেশমের সুদিন ফিরে আসবে। মুছে যাবে বেকারত্বের গ্লানি। ঘুচ যাবে অর্থনৈতিক দৈন্যতা। স্বাবলম্বি হবে এলাকাবাসী। দেশ হবে রেশম শিল্পে আত্মনির্ভরশীল। শুধু তাই নয় বিদেশেও রেশম বস্ত্র রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক অর্থ আয় করা সম্ভব। তিনি মহানন্দা চরের রেশম চাষ উপযোগী ওই জমিগুলো প্রকৃত ও আদী রেশম চাষীদের মেয়াদী ও খন্ড মেয়াদের লীজ দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে রেশম বোর্ড চেয়ারম্যান সুনীল চন্দ্র পালও একমত এবং রেশম চাষ সম্প্রসারণের জন্য তিনি জেলা প্রশাসক বরাবরে রেশম চাষীদের লিখিত আবেদনটি পাঠিয়েছেন বলে জানান। রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটউট এর পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া ও এ বিষয়ে একমত পোষন করেন।তিনি বলেন পার্বত্য পট্টগ্রাম এর বিস্তির্ন পতিত জমি অনাবাদী পড়ে আছে।সেসকল জমি রেশম চাষের আওতায় আনা গেলে এ দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে অতিরিক্ত রেশম বিদেশে রপ্তানী করার মত সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক কেএম আলী আজম বলেন, যেহেতু ভোলাহাট উপজেলা রেশম শিল্পের কেন্দ্রভূমি। সেহেতু অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দলের মতামত ও জরীপ রিপোর্ট প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পদক্ষেপ নিলে ভোলাহাট তথা দেশের রেশম শিল্পের বৃহৎ স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে জানান। এ বিষয়ে ভোলাহাট রেশম জোনের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম জানান, স্থানটি রেশম চাষের উপযোগী। প্রকৃত প্রান্তিক রেশম চাষীদের মেয়াদী ভিত্তিতে লীজ দিলে রেশমের সুদিন ফিরে আসবে। স্বনির্ভরতা অর্জন করবে রেশম শিল্প। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ওই স্থানে শাহ নিয়ামতউল্লাহ বহুমুখী রেশম কীট শিল্প সমবায় সমিতি লিঃ (রেজিঃ প্রাপ্ত) পরীক্ষা মূলকভাবে রেশম চাষ প্রক্রিয়া আরম্ভ করেছে। রেশম বোর্ডের খন্ডকালীন সদস্য ইয়াসিন আলী শাহ ও সেমাবের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহীর কমিটির ভোলাহাট প্রতিনিধি আব্দুর রহমান জিন্নাত একই কথা বলেন।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব
কাপ্তাই রেশম গবেষনা কেন্দ্র পুরোদরম চালু করা গেলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব
বার্তা লাইভ ২৪ ডটকম,মাহফুজ আলম, কাপ্তাই(২২ মার্চ):
কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত চন্দ্রঘোনায় সম্ভাবনাময় আঞ্চলিক রেশম গবেষনা কেন্দ্রটি পুরোদমে চালু করা গেলে, অল্প সময়ের ব্যাবধানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সহজ হতে পারে। পার্বত্য কাপ্তাইয়ের গরীব দুঃখী মানুষগুলো সল্প আয়ের বিনিময়ে শ্রম দিতে আগ্রহী। শ্রমিকদের যথাসময়ে অল্প খরচের বিনিময়ে কাজে লাগিয়ে রেশম গবেষনা কেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু করার সুযোগ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও পার্বত্য কাপ্তাইয়ের পাহাড়ী মাটি, জলবায়ু ও আর্থসামাজিক অবস্থা পুরোপুরি অনুকুলে থাকা অবস্থায় কাপ্তাই এলাকায় চন্দ্রঘোনা রেশম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এই সুযোগকে কাজে লাগহাতে পারলে চন্দ্রঘোনা আঞ্চলিক গবেষনা কেন্দ্র থেকে রেশম চাষের উজ্বল সম্ভাবনা কাজে লাগবে। বিশেষ করে পার্বত্য কাপ্তাই অঞ্চলের চন্দ্রঘোনায় তুঁত ও অতুঁত রেশম চাষের অনুকুল পরিবেশ রয়েছে। রেশম গবেষনা কেন্দ্রটি রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই নিরীহ-গরীব ও বেকার। তাই রেশম গবেষনা কেন্দ্রটি চালু করে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থার পাশাপাশি পুরোদমে চালু করা গেলে পর্যাপ্ত বৈদেশিক অর্জন করার সুয়োগ সৃষ্টির পাশাপাশি সরকারও বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় পাবে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধিপাবে তুঁত ও অতুঁত থেকে রেশম উৎপাদন। এই রেশম উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের চাহিদা পুরণ করে বিদেশেও রেশম রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সম্ভাবনার সুযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা আঞ্চলিক গবেষনা কেন্দ্রটি তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান সরকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার সরাসরি নিয়ন্ত্রনাধীন ১৯৬২ সালে রেশম বীজাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এর পর রেশম বীজাগারটি বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের আওতায় বীজ বর্ধন ও পুলুর মাতৃ পিতৃজাত (পিতৃ) রক্ষনাবেক্ষনের কাজে ব্যাবহৃত হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে সরকারী এক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের নিয়ন্ত্রনাধীন কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা রেশম বীজাগারটিকে বাংলাদেশ রেশম গবেষনা ও প্রশিক্ষন ইন্সটিটিউটের (বিএসআরটিআই) অধিরে ন্যাস্ত করেচন্দ্রঘোনা আঞ্চলিক রেশম গবেষনাগারে রুপান্তরিত করে।
বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১২
বিলুপ্তির পথে দেশীয় রেশম শিল্প
বিলুপ্তির পথে দেশীয় রেশম শিল্প
দেশবাসীর অগোচরেই নীরবে নিভৃতে দেশীয় রেশমি সুতোর দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কৌলিন্য, ঐতিহ্য-অহংকারের রেশম শিল্পের আজ বড় দুর্দিন। রেশমী সুতো এখন আসে চীন থেকে । আর সেই সুতোয়
বোনা কাপড় রাজধানীসহ গোটা দেশে পরিচিতি পাচ্ছে রাজশাহী সিল্ক নামে। রেশম শিল্পের সোনালি অতীত এখন শুধুই ইতিহাস। বর্তমানে রাজশাহী সিল্কের অস্তিত্ব রয়েছে শুধু কাগজে-কলমে। অথচ অনেকেই জানেন না যে,এখন এই শিল্প আসলে রাজশাহীতে উৎপাদিত রেশম সুতোর উপর নির্ভরশীল নয়। রেশম শিল্পের মালিকরা বলছেন, দেশে রেশমী সুতোর উৎপাদন তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই এখন রাজশাহী সিল্কে ব্যবহৃত হয় চীন থেকে আমদানিকৃত রেশম সুতো।
প্রকাশ, বিদেশ থেকে সুতো কম আসায় সুতোর দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে। বিগত বছর যে সুতো এক হাজার ২শ’ টাকা থেকে এক হাজার ৩শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, এবার তা বেড়ে আড়াই হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আর ব্যবসায়ীদেরকে বেল হিসাবে কিনতে হয় এই সুতো । ৬০-৭০ কেজিতে হয় এক বেল। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চরম প্রতিকূলতার মাঝে পড়ে অনেক প্রিন্টিং ও উইভিং ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের অন্যতম সিল্কের উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ঊষা সিল্ক প্রিন্টিং এন্ড উইভিং ফ্যাক্টরীর রেজাউল করিম রোকন ইত্তেফাককে জানান, দেশে এখন রেশমের পূর্ণাঙ্গ ফ্যাক্টরী আছে মোটে ৬টি। এছাড়া উইভিং আছে ২৫-২৬টি। প্রিন্টিং আছে ২৭টি। আগে ছিল শতাধিক। তিনি জানান, সিল্কের সুতো পুরোটাই প্রায় চীন থেকে আসে। দেশে কয়েকটি এনজিও এখন ভোলারহাট, নবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জ, পঞ্চগড় ও বাঘায় রেশম চাষ করছে। দেশীয় রেশম অতি উন্নতমানের। এটার আঁশ মোটা। দামও কম। তবে তা চাহিদার তুলনায় কিছুই না।
এই শিল্পের দুরবস্থার নেপথ্যে রেশম ভবনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রধানতম কারণ। সরেজমিনে দেখা যায়, চার বছর আগেও রেশম শিল্পের যে ভবনগুলো মুখরিত থাকতো মেশিনের একটানা আওয়াজ আর শ্রমিকদের কর্মচাঞ্চল্যে, ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর কারখানা বন্ধ হবার পর থেকে সেই ভবনগুলো এখন যেন মৃত্যুপুরি।
রাজশাহীর রেশম ব্যবসায়ীরা ইত্তেফাককে জানান, এখানকার কোন ব্যবসায়ীই এখন আর সুতো উৎপাদন করছেন না। এখন তাদের কার্যক্রম উইভিং, প্রিন্টিং আর মার্কেটিং পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। অথচ একসময় রাজশাহীতে ব্যবসায়ীরা সিল্ক সুতো উৎপাদন করতেন। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুতোর পাশাপাশি চীন, ভিয়েতনাম, কোরিয়াসহ বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সামান্য পরিমাণে সুতো আমদানি করা হতো। তবে প্রসিদ্ধ রাজশাহী সিল্ক মূলত তৈরি হতো স্থানীয় সিল্ক সুতো থেকে।
স্থানীয় সিল্ক সুতোর বড় সরবরাহ আসতো প্রতিবেশী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট থেকে। সেখানে রেশম চাষিরা এটা ছেড়ে অন্য চাষাবাদে চলে গেছে। সেখানকার সিল্ক সুতো উৎপাদনের ইতিহাস প্রায় এক হাজার বছরের পুরানো। সেই সময় তৈরি সিল্ক কাপড়ের ৮০ শতাংশেই ব্যবহৃত হতো স্থানীয় সুতো। তখন যারা সুতো উৎপাদন করতেন, কেবল তারাই দেশের বাইরে থেকে সিল্ক সুতো আমদানির লাইসেন্স পেতেন। সেই দৃশ্যপট পাল্টে যায় ১৯৯১ সালের পর থেকে। সরকার নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয় সিল্ক সুতা আমদানির লাইসেন্সের ক্ষেত্রে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ে সিল্ক সুতা উৎপাদন না করলেও যে কেউই তা আমদানি করতে পারবে। ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে ট্যাক্স তুলে নেয়া হয় আমদানিকারকদের ওপর থেকে। ফলে অতি উৎসাহী ব্যবসায়ীদের কারণে বাজার সয়লাব হতে শুরু করে চীন, কোরিয়া, ভিয়েতনাম আর উজবেকিস্তান থেকে আমদানি করা নিম্নমানের সিল্ক সুতা দিয়ে। সরকারি সিদ্ধান্তের সুযোগে এসব সুতার আমদানি যতো বাড়তে থাকে স্থানীয় সিল্ক সুতার উৎপাদনও ততোটাই হোঁচট খেতে থাকে।
এক পর্যায়ে সরকার আবারও নেয় নতুন সিদ্ধান্ত। এবারের সিদ্ধান্তে আমদানিকৃত সুতার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারিত হয়। পরে সেই ভ্যাট বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করলেও এতে স্থানীয় পর্যায়ে সিল্ক সুতা উৎপাদন প্রক্রিয়ার কোনও ফায়দা হয়নি। উল্টো আরও বেশি বিপাকে পড়েছেন রেশম ব্যবসায়ীরা। এদিকে ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর রাজশাহী রেশম কারখানা বন্ধ ঘোষণার পর রেশম শিল্পকে বাঁচাতে স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের কোনও উদ্যোগই আর অবশিষ্ট নেই। ২০০১ সালেই ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই কারখানায় বিএমআরআই মেশিন কেনা হয়। এর মাত্র এক বছরের ব্যবধানে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মেশিনগুলো পড়ে আছে অচল হয়ে।
বন্ধ হয়ে যাবার আগে রেশম কারখানার কাঁধে ছিল ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা ঋণের বোঝা। অথচ ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৬১ সালে ৪৭১ জন শ্রমিক-কর্মচারি নিয়ে চলতে শুরু করা ঐতিহ্যবাহী এই কারখানা ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত লাভের মুখ দেখেছে। ১৯৭৮ সালে রেশম বোর্ডের হাতে কারখানা ছেড়ে দেয়ার পর শুরু হয় লোকসানের পালা। সিবিএ নেতা আতাউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ওই কারখানায় প্রায় ১২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এই কারখানাটি বন্ধের পর আবারও চালু হবে হবে করলেও আজও তা চালু হয়নি।
রাজশাহী রেশম বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. সওদাগর মাহফুজার রহমান জানান, রেশম কারখানাটিকে কিভাবে লাভজনক খাত হিসাবে চালু করা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আড়াই বছর আগে দায়িত্বে থাকাকালেই জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছিলো। এই ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান জানান, সর্বশেষ গত বছরের ৯ জুলাই আহবায়ক কমিটির সভা হয়েছে। ঐ সভায় রাজশাহী রেশম কারখানাটি আবারও চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু কারখানা চালু করার মত অর্থ রেশম বোর্ডের কাছে নেই। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে কিছু মূলধন পাওয়া গেলে কারখানা চালু করা যাবে। তবে বর্তমান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ইত্তেফাককে বলেছেন, আমি চেষ্টা করছি এই কারখানাটি আবারও চালু করার জন্য । সরকার সহযোগিতা করলে এই উদ্যোগ সফল হবে।
জানা যায়, রাজশাহী রেশম কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগেই রাজশাহীতে প্রস্তাবিত রেশম নগরী গড়ে তুলবার পরিকল্পনাটি বিএনপি সরকার বাতিল করে দিয়েছিল। সে সময় কারণ হিসাবে একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপ তুলে ধরা হয়েছিল। প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে রেশম নগরী গড়ে তোলা যুক্তিহীন বলে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছিল ।
সোমবার, ৫ মার্চ, ২০১২
রাজশাহী সফরে মার্কীন রাষ্ট্রদূত: রেশম শিল্পে আশাবাদ
কালেরকন্ঠ
ঢাকা, শুক্রবার ২ মার্চ ২০১২, ১৯ ফাল্গুন ১৪১৮, ৮ রবিউস সানি ১৪৩৩
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐকমত্য চায় যুক্তরাষ্ট্র : মজিনা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, একটি গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে এখানকার রাজনৈতিক দলের নেতারা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য ঐকমত্যে পৌছাবেন। এরপর নির্বাচন শেষে এর ফলাফলও সব দল মেনে নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের এ দৃষ্টিভঙ্গির কথা গতকাল বৃহস্পতিবার জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত সে দেশের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও সিরাজগঞ্জে পাঁচ দিনের সফর শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর অ্যারিস্টোক্র্যাট রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মজিনা বলেন, তিনি মনে করেন, বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের নেতারা ঐকমত্যে পৌছবেন। কারণ জনগণ বুঝতে পারছে এখন বিশ্ব অর্থনীতির এমন একটা মুহূর্ত যখন বাংলাদেশ বাংলার বাঘ হতে পারে, রপ্তানির ক্ষেত্রে পরবর্তী চীন হতে পারে। আর তা সম্ভব তৈরি পোশাক, হাউসহোল্ড টেক্সটাই, ওষুধ উৎপাদন, তৈরি চামড়া পণ্য এবং রেশম রপ্তানির মাধ্যমে। মজিনা বলেন, 'এ মুহূর্তে এসব সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না এবং জাতি ভয়ানক রাজনৈতিক অস্থিরতায় ঝুঁকি নিতে পারে না। সে জন্য আমি অত্যন্ত আশাবাদী, বড় দলের নেতারা পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি ঐকমত্যের কৌশল বের করবেনই।'
তিস্তার পানিবণ্টন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এটা একটা জটিল ইস্যু। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিম বাংলা এবং বাংলাদেশ সরকার এ সমস্যা সমাধানে এমন একটা পথ বের করবে, যা দুই দেশের মানুষের জন্য ভালো হবে।'
মজিনা তাঁর পাঁচ দিনের বৃহত্তর রাজশাহী সফর শেষে আরো বলেন, নতুন বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৫০ টন রেশম উৎপাদিত হয় কিন্তু দেশের চাহিদা ৩০০ টন। তবে বাংলাদেশ ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে হাজার হাজার টন কাঁচা রেশম উৎপাদন করার সক্ষমতা রাখে। রেশমশিল্প মেয়েদের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর দুপুর ২টায় রাষ্ট্রদূত মজিনা রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে কমিউনিটি পুলিশিং উৎসবে যোগদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, সুন্দর রাজশাহীকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও দি এশিয়া ফাউন্ডেশন পুলিশ অফিসারদের পুলিশিংয়ের নতুন ধারায় প্রশিক্ষিত করেছে। এ ধারার নাম কমিউনিটি পুলিশিং।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান, মহানগর পুলিশের কমিশনার এম ওবাইদুল্লাহ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট ও মেহরাব হোসেন অপি উপস্থিত ছিলেন।
মজিনা বলেন, তিনি মনে করেন, বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের নেতারা ঐকমত্যে পৌছবেন। কারণ জনগণ বুঝতে পারছে এখন বিশ্ব অর্থনীতির এমন একটা মুহূর্ত যখন বাংলাদেশ বাংলার বাঘ হতে পারে, রপ্তানির ক্ষেত্রে পরবর্তী চীন হতে পারে। আর তা সম্ভব তৈরি পোশাক, হাউসহোল্ড টেক্সটাই, ওষুধ উৎপাদন, তৈরি চামড়া পণ্য এবং রেশম রপ্তানির মাধ্যমে। মজিনা বলেন, 'এ মুহূর্তে এসব সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না এবং জাতি ভয়ানক রাজনৈতিক অস্থিরতায় ঝুঁকি নিতে পারে না। সে জন্য আমি অত্যন্ত আশাবাদী, বড় দলের নেতারা পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি ঐকমত্যের কৌশল বের করবেনই।'
তিস্তার পানিবণ্টন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এটা একটা জটিল ইস্যু। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিম বাংলা এবং বাংলাদেশ সরকার এ সমস্যা সমাধানে এমন একটা পথ বের করবে, যা দুই দেশের মানুষের জন্য ভালো হবে।'
মজিনা তাঁর পাঁচ দিনের বৃহত্তর রাজশাহী সফর শেষে আরো বলেন, নতুন বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৫০ টন রেশম উৎপাদিত হয় কিন্তু দেশের চাহিদা ৩০০ টন। তবে বাংলাদেশ ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে হাজার হাজার টন কাঁচা রেশম উৎপাদন করার সক্ষমতা রাখে। রেশমশিল্প মেয়েদের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর দুপুর ২টায় রাষ্ট্রদূত মজিনা রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে কমিউনিটি পুলিশিং উৎসবে যোগদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, সুন্দর রাজশাহীকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও দি এশিয়া ফাউন্ডেশন পুলিশ অফিসারদের পুলিশিংয়ের নতুন ধারায় প্রশিক্ষিত করেছে। এ ধারার নাম কমিউনিটি পুলিশিং।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান, মহানগর পুলিশের কমিশনার এম ওবাইদুল্লাহ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট ও মেহরাব হোসেন অপি উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমআলো
রাজশাহীতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত
দলগুলো সমঝোতার একটি কৌশল বের করবেই
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | তারিখ: ০২-০৩-২০১২
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা বলেছেন, বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য বড় দলগুলো নিজেদের মধ্যে সমঝোতার একটি কৌশল বের করবেই। এ ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় তাঁর পাঁচ দিনের সফর গতকাল শেষ হয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় পৌঁছাবে—এটাই যুক্তরাষ্ট্র চায়।
মজিনা বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প, গৃহস্থালি বস্ত্র, ওষুধ, চামড়া পণ্য ও রেশম রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের এই সম্ভাবনাময় মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হোক, বাংলাদেশের মানুষ সেই ঝুঁকি নিতে চাইবে না।
তিস্তার পানি বণ্টন প্রশ্নে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটা একটা জটিল ইস্যু। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও বাংলাদেশ সরকার এই সমস্যা সমাধানে একটা পথ বের করবে, যা হবে দুই দেশের মানুষের জন্যই ভালো।’
বিকেলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন: আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, রাষ্ট্রদূত মজিনা গতকাল সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন করেন। জাদুঘরের প্রত্নসামগ্রী ও প্রাচীন পুঁথির সংগ্রহ ঘুরে দেখার পাশাপাশি তিনি জাদুঘরের রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনঃ সজ্জিতকরণ কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহানের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় তাঁর পাঁচ দিনের সফর গতকাল শেষ হয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় পৌঁছাবে—এটাই যুক্তরাষ্ট্র চায়।
মজিনা বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প, গৃহস্থালি বস্ত্র, ওষুধ, চামড়া পণ্য ও রেশম রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের এই সম্ভাবনাময় মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হোক, বাংলাদেশের মানুষ সেই ঝুঁকি নিতে চাইবে না।
তিস্তার পানি বণ্টন প্রশ্নে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটা একটা জটিল ইস্যু। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও বাংলাদেশ সরকার এই সমস্যা সমাধানে একটা পথ বের করবে, যা হবে দুই দেশের মানুষের জন্যই ভালো।’
বিকেলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন: আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, রাষ্ট্রদূত মজিনা গতকাল সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন করেন। জাদুঘরের প্রত্নসামগ্রী ও প্রাচীন পুঁথির সংগ্রহ ঘুরে দেখার পাশাপাশি তিনি জাদুঘরের রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনঃ সজ্জিতকরণ কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহানের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)