কালেরকন্ঠ
ঢাকা, শুক্রবার ২ মার্চ ২০১২, ১৯ ফাল্গুন ১৪১৮, ৮ রবিউস সানি ১৪৩৩
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐকমত্য চায় যুক্তরাষ্ট্র : মজিনা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, একটি গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে এখানকার রাজনৈতিক দলের নেতারা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য ঐকমত্যে পৌছাবেন। এরপর নির্বাচন শেষে এর ফলাফলও সব দল মেনে নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের এ দৃষ্টিভঙ্গির কথা গতকাল বৃহস্পতিবার জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত সে দেশের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও সিরাজগঞ্জে পাঁচ দিনের সফর শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর অ্যারিস্টোক্র্যাট রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মজিনা বলেন, তিনি মনে করেন, বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের নেতারা ঐকমত্যে পৌছবেন। কারণ জনগণ বুঝতে পারছে এখন বিশ্ব অর্থনীতির এমন একটা মুহূর্ত যখন বাংলাদেশ বাংলার বাঘ হতে পারে, রপ্তানির ক্ষেত্রে পরবর্তী চীন হতে পারে। আর তা সম্ভব তৈরি পোশাক, হাউসহোল্ড টেক্সটাই, ওষুধ উৎপাদন, তৈরি চামড়া পণ্য এবং রেশম রপ্তানির মাধ্যমে। মজিনা বলেন, 'এ মুহূর্তে এসব সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না এবং জাতি ভয়ানক রাজনৈতিক অস্থিরতায় ঝুঁকি নিতে পারে না। সে জন্য আমি অত্যন্ত আশাবাদী, বড় দলের নেতারা পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি ঐকমত্যের কৌশল বের করবেনই।'
তিস্তার পানিবণ্টন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এটা একটা জটিল ইস্যু। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিম বাংলা এবং বাংলাদেশ সরকার এ সমস্যা সমাধানে এমন একটা পথ বের করবে, যা দুই দেশের মানুষের জন্য ভালো হবে।'
মজিনা তাঁর পাঁচ দিনের বৃহত্তর রাজশাহী সফর শেষে আরো বলেন, নতুন বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৫০ টন রেশম উৎপাদিত হয় কিন্তু দেশের চাহিদা ৩০০ টন। তবে বাংলাদেশ ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে হাজার হাজার টন কাঁচা রেশম উৎপাদন করার সক্ষমতা রাখে। রেশমশিল্প মেয়েদের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর দুপুর ২টায় রাষ্ট্রদূত মজিনা রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে কমিউনিটি পুলিশিং উৎসবে যোগদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, সুন্দর রাজশাহীকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও দি এশিয়া ফাউন্ডেশন পুলিশ অফিসারদের পুলিশিংয়ের নতুন ধারায় প্রশিক্ষিত করেছে। এ ধারার নাম কমিউনিটি পুলিশিং।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান, মহানগর পুলিশের কমিশনার এম ওবাইদুল্লাহ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট ও মেহরাব হোসেন অপি উপস্থিত ছিলেন।
মজিনা বলেন, তিনি মনে করেন, বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের নেতারা ঐকমত্যে পৌছবেন। কারণ জনগণ বুঝতে পারছে এখন বিশ্ব অর্থনীতির এমন একটা মুহূর্ত যখন বাংলাদেশ বাংলার বাঘ হতে পারে, রপ্তানির ক্ষেত্রে পরবর্তী চীন হতে পারে। আর তা সম্ভব তৈরি পোশাক, হাউসহোল্ড টেক্সটাই, ওষুধ উৎপাদন, তৈরি চামড়া পণ্য এবং রেশম রপ্তানির মাধ্যমে। মজিনা বলেন, 'এ মুহূর্তে এসব সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না এবং জাতি ভয়ানক রাজনৈতিক অস্থিরতায় ঝুঁকি নিতে পারে না। সে জন্য আমি অত্যন্ত আশাবাদী, বড় দলের নেতারা পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি ঐকমত্যের কৌশল বের করবেনই।'
তিস্তার পানিবণ্টন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এটা একটা জটিল ইস্যু। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিম বাংলা এবং বাংলাদেশ সরকার এ সমস্যা সমাধানে এমন একটা পথ বের করবে, যা দুই দেশের মানুষের জন্য ভালো হবে।'
মজিনা তাঁর পাঁচ দিনের বৃহত্তর রাজশাহী সফর শেষে আরো বলেন, নতুন বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৫০ টন রেশম উৎপাদিত হয় কিন্তু দেশের চাহিদা ৩০০ টন। তবে বাংলাদেশ ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে হাজার হাজার টন কাঁচা রেশম উৎপাদন করার সক্ষমতা রাখে। রেশমশিল্প মেয়েদের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর দুপুর ২টায় রাষ্ট্রদূত মজিনা রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে কমিউনিটি পুলিশিং উৎসবে যোগদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, সুন্দর রাজশাহীকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও দি এশিয়া ফাউন্ডেশন পুলিশ অফিসারদের পুলিশিংয়ের নতুন ধারায় প্রশিক্ষিত করেছে। এ ধারার নাম কমিউনিটি পুলিশিং।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান, মহানগর পুলিশের কমিশনার এম ওবাইদুল্লাহ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট ও মেহরাব হোসেন অপি উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমআলো
রাজশাহীতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত
দলগুলো সমঝোতার একটি কৌশল বের করবেই
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা বলেছেন, বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য বড় দলগুলো নিজেদের মধ্যে সমঝোতার একটি কৌশল বের করবেই। এ ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় তাঁর পাঁচ দিনের সফর গতকাল শেষ হয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় পৌঁছাবে—এটাই যুক্তরাষ্ট্র চায়।
মজিনা বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প, গৃহস্থালি বস্ত্র, ওষুধ, চামড়া পণ্য ও রেশম রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের এই সম্ভাবনাময় মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হোক, বাংলাদেশের মানুষ সেই ঝুঁকি নিতে চাইবে না।
তিস্তার পানি বণ্টন প্রশ্নে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটা একটা জটিল ইস্যু। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও বাংলাদেশ সরকার এই সমস্যা সমাধানে একটা পথ বের করবে, যা হবে দুই দেশের মানুষের জন্যই ভালো।’
বিকেলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন: আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, রাষ্ট্রদূত মজিনা গতকাল সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন করেন। জাদুঘরের প্রত্নসামগ্রী ও প্রাচীন পুঁথির সংগ্রহ ঘুরে দেখার পাশাপাশি তিনি জাদুঘরের রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনঃ সজ্জিতকরণ কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহানের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় তাঁর পাঁচ দিনের সফর গতকাল শেষ হয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় পৌঁছাবে—এটাই যুক্তরাষ্ট্র চায়।
মজিনা বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প, গৃহস্থালি বস্ত্র, ওষুধ, চামড়া পণ্য ও রেশম রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের এই সম্ভাবনাময় মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হোক, বাংলাদেশের মানুষ সেই ঝুঁকি নিতে চাইবে না।
তিস্তার পানি বণ্টন প্রশ্নে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটা একটা জটিল ইস্যু। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও বাংলাদেশ সরকার এই সমস্যা সমাধানে একটা পথ বের করবে, যা হবে দুই দেশের মানুষের জন্যই ভালো।’
বিকেলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন: আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, রাষ্ট্রদূত মজিনা গতকাল সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন করেন। জাদুঘরের প্রত্নসামগ্রী ও প্রাচীন পুঁথির সংগ্রহ ঘুরে দেখার পাশাপাশি তিনি জাদুঘরের রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনঃ সজ্জিতকরণ কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহানের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন