শুক্রবার, ২ মার্চ, ২০১২

খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউট (আইএফআরবি)


খাদ্য  বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউট (আইএফআরবি)
সাভারস্থ খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউট (আইএফআরবি) মূলত পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাদ্যশস্য, মাছ, মসলা, শুঁটকি মাছ, ইত্যাদি সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিভিন্ন সামগ্রী জীবাণুমুক্তকরণ, কীট দমন,ইত্যাদি নানাবিধ গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কাজে সম্পৃক্ত আছে। এ ইনস্টিটিউটের ৫০,০০০ ক্যুরি ক্ষমতা সম্পন্ন গামা সোর্সের সাহায্যে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ, কৃষিজাতপণ্য জীবাণুমুক্তকরণ, বালাই দমন (pest control) ও চিকিৎসাসামগ্রী জীবাণুমুক্তকরণ বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ ছাড়া অত্র ইনস্টিটিউট বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে বিকিরণ প্রযুক্তি প্রয়োগ করে জীবাণুমুক্তকরণের সেবা প্রদান করে আসছেপ্রতিবেদনকালীন সময়ে এসকল সেবাদানের মাধ্যমে অত্র ইনষ্টিটিউট ৪,৮৭,২২৫ (চার লক্ষ সাতাশি হাজার দুইশত পঁচিশ) টাকা আয় করেছে। 
বিগত অর্থ বছরে অত্র ইনস্টিটিউটের অধীনে  নিম্নে বর্ণিত ৬টি বিভাগ ও ১টি ইউনিট কর্তৃক গৃহিত/সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য গবেষণা কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ ধারাবাহিকভাবে  উপস্থাপন করা হলো:
ক.   এগ্রোকেমিক্যাল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ
এগ্রোকেমিক্যাল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ বিভাগ কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ নির্ণয় এবং জমিতে ব্যবহৃত এই সমস্ত কীটনাশকের উপর পরিবেশের প্রভাব, চলাচল ও পরিণতি বিষয়ে গবেষণা কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এছাড়া,নির্ধারিত চার্জ প্রদান সাপেক্ষে বিভিন্ন সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশে বিশ্লেষণ বিষয়ক সেবা প্রদান অব্যাহত আছে
গবেষণা কার্যক্রম : প্রতিবেদনাধীন সময়ে বাগেরহাট জেলার আন্তর্গত বাগেরহাট উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ( যাত্রাপুর, বাগেরহাট পৌরসভা, সাতগম্বুজবেমার্তা এবং কড়াপাড়া ইউনিয়ন) পরিবেশের নমুনায় কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ নির্ণয়ের জন্য একটি জরীপ করা হয়। উক্ত জরীপে পরিলক্ষিত হয় যে, বাগেরহাট উপজেলার  চিংড়ী ঘের সংলগ্ন ধানক্ষেতের পানি ও মাটির নমুনায় ডিডিটি, ডিডিডি, ক্লোরোপাইরিফস, ডায়াজিনন এবং ম্যালাথিয়নের কোন অবশিষ্টাংশের উপস্থিতি  পাওয়া যায়নি
সেবাদান: এসময়ে বৃটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানী (বাংলাদেশ) কর্তৃক প্রেরিত ৫টি পানি ও ৩টি মাটির নমুনায় কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ বিশ্লেষণের মাধ্যমে ১,২০,০০০/- (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা আয় হয়েছে
খ.   ফুড টেকনোলজি
গবেষণা কর্মকান্ড
১)    প্রসেস কন্ট্রোল, একসেপটেন্স এন্ড কর্মাশিয়ালাইজেশন অব দি ইরেডিয়েটেড সলটেড  ডিহাইড্রেটেড হিলসা ফিস :শুস্ক লবণ : মাছ  (১:৩) এবং  কিলোগ্রে গামা ইরেডিয়েশন, সংরক্ষিত তাপমাত্রা ৫-৬ ডিগ্রী সে:ব্যাপকভাবে পচনশীলতা রোধ করে
২)   তাজা  শুস্ক ওয়েষ্টার মাশরুমের এর গুণাগুণ নির্ণয়: ফলাফলে দেখা গেছে যে শুকনা মাশরুমে পুষ্টি পরিমাণবেশী থাকে কারণ  তাজা মাশরুমের তুলনায় শুকনা মাশরুমে পানির পরিমাণ কম থাকে
৩)   সহজলভ্য খাদ্য প্রস্তুতকরণ: পেপে পাওডার, কলার চিপস এবং পাটের পাতা পাওডার প্রস্তুত  করা হয়েছে এবংকক্ষ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে এর গুণাগুণ নির্ণয় প্রক্রিয়াধীন আছে
৪)   গামা রশ্মির মাধ্যমে রাস্তার পাশের  খাদ্যের গুণাগুণ নির্ণয় করা: চাউলের তৈরী খাদ্যের গুণাগুণ নির্ণয় করাহয়েছে
মানব সম্পদ উন্নয়ন : ঢাকা পলিটেকনিক এর ১০ জন ছাত্র-ছাত্রী কে ইন হাউজ ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে এবং  জনএম এসসি ছাত্র কে থিসিস সম্পাদনের জন্য গাইড করা হয়েছে 
আয়:   সময়ে সেবাদানের মাধ্যমে  মোট আয় হয়েছে ২৩,১০০/- (তেইশ হাজার একশত) টাকা                       
প্রকাশনা :  আন্তর্জাতিক  জাতীয় জার্ণালে  টি গবেষনা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে
গ.   কীট জীব প্রযুক্তি
পারমাণবিক ও উন্নততর জীবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কীট পতঙ্গ দমন ও ব্যবস্থাপনা এ বিভাগের কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য কীট পতঙ্গ মূলত কৃষিজ পণ্যের আপদ  এবং মানুষ ও অন্যান্য জীবজন্তুর বিভিন্ন রোগের বাহক হিসেবে কাজ করেএখন পর্যন্ত কীট পতঙ্গ দমনে প্রধানত রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এ সব  রাসায়নিক বালাইনাশক মানুষ ও পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। এ প্রেক্ষিতে কীট পতঙ্গের আপদ ব্যবস্থাপনার বিকল্প পদ্ধতি উদ্ভাবনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে । প্রতিবেদন কালে এ বিভাগে নিম্নবর্ণিত গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত  হয়েছে
১)    অধিক রেশম সূতা উৎপাদনে গামা রশ্মির প্রভাব
বিকিরিত ও  অবিকিরিত বহুচক্রী রেশমকীটের ডিম হতে উৎপাদিত রেশম সূতার গুণাগুণ পরীক্ষা করে ফলাফলে দেখা গেছে বিকিরণ প্রয়োগের ফলে অধিকতর সূতার দৈর্ঘ্য, ভালো ডেনিয়ার মান এবং রিলিং এর সময় সূতারbreakage কম হয়। অত্র বিভাগের বিজ্ঞানীরা এবং বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, রাজশাহী-এর বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এ কার্য সম্পাদন করেছে
২)    অধিক সিল্ক প্রোটিন উৎপাদন  প্রেটিনের তাপ সহনীয় ক্ষমতা
রেশম কীটের ডিমে গামা রশ্নি (১.৫ গ্রে) প্রয়োগে প্রায় ৪৮% সিল্ক প্রোটিন উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ফাইব্রোয়িন ও সেরিসিন প্রোটিনের মধ্যে ফাইব্রোয়িন প্রোটিন অধিকতর তাপ সহনীয়। গামা রশ্নি প্রয়োগ থেকে অধিকতর তাপ সহনীয় ফাইব্রোয়িন প্রোটিন (হেভী ও লাইট চেইন) উৎপাদন সম্ভব হয়েছে
৩)    পুরুষ নিধন পদ্ধতিতে আম আক্রমনকারী ফলের মাছি Bactrocera dorsalis and B. zonata এর নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত গবেষণা:
মিনারেল ওয়াটার বোতলে মিথাইল ইউজিনল লিউর দিয়ে ফাঁদ তৈরী করে ফলের মাছি ধরে মেরে ফেলা হয় গড়েপ্রতিদিন ১৭৫ টি মাছি প্রতি ফাঁদে মারা যায় উল্লেখিত ফাঁদ-এর কার্যকারীতার ফলাফলে আম চাষীরা আগ্রহ প্রকাশকরেছেন এবং কিছু আম চাষী  কীট জীবপ্রযুক্তি বিভাগের মধ্যে আরও ফাঁদের ব্যবহার  আমে পোকার আক্রমনসংক্রান্ত কাজে সহায়তামূলক সমঝোতা হয়েছে
৪)    দেশজ মশা নাশক ব্যকটেরিয়া Bacillus sphaericus এর মশার উপর কার্যকারীতা এবং এই ব্যাকটেরিয়ার বাইনারী প্রোটিন এর তাপ সহনীয়তা:
ঢাকার সাধারণ মশা Culex quinquefasciatus-i শুককীট এর উপর Bacillus sphaericus হতে আহরিতপ্রোটিনের মশা নাশকতার মান (LC50) মান নির্ধারণ করা হয়েছে মশা নাশক  বাইনারী  (Bin) প্রোটিন 70°C পর্যন্ত তাপ সহনশীল কিন্তু ৮০ সে. তাপে তাদের কার্যকারীতা নষ্ট হয়ে যায়। Bin প্রোটিন-এর মধ্যে ৪২ kDa  প্রোটিন ৫১kDa প্রোটিন অপেক্ষা বেশী তাপ সহনশীল
একাডেমিক কার্যক্রম
থিসিস তত্ত্বাবধানঃ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত মোট ৬ জন ছাত্র- ছাত্রীকে  থিসিস তত্ত্বাবধান সেবা প্রদান করা হয়েছে
প্রকাশনা: এ সময়ে  গবেষণা কর্মের উপর আর্ন্তজাতিক জার্ণালে ২ টি  ও দেশীয় জার্ণালে ৫ টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে
ঘ.   মাইক্রোবায়োলজি এন্ড ইন্ডাসট্রিয়াল ইরাডিয়েশন
গবেষণা  উন্নয়ন কার্যক্রম
১. রেডিয়েশন ও কম্বিনেশন ট্রিটমেণ্টের মাধ্যমে মৎস্য ও মৎস্যজাত দ্রব্যাদির সংরক্ষণ
১.১   ম্যাকারাল ফিসের জীবাণুর উপর পরীক্ষা:
ম্যাকারাল ফিসের সংশ্লিষ্ট জীবাণু আইসোলেট করে সনাক্তকরণের কাজ করা হয়েছে এবং ম্যাকারাল ফিসের সংশ্লিষ্ট জীবাণুর উপর নিম্ন তাপমাত্রার প্রভাবের পরীক্ষার কাজ করা হয়েছে। সর্বমোট ৬৪ টি ব্যাকটেরিয়া আইসোলেশন করে সনাক্তকরণের কাজ শেষ করা হয়েছে। সংরক্ষণকালীন সময়ে নিম্ন তাপমাত্রায় সংশ্লিষ্ট জীবাণু ক্রমাগতভাবে কমতে থাকে বলে প্রতীয়মান হয়েছে
২.    অণুজীবের মাধ্যমে শিল্পজ রাসায়নিক বর্জ্যের নিয়ন্ত্রণ
২.১   মিশ্র জীবাণু দ্বারা ফেনলের জৈব বিশ্লেষণ:

Immobilization পদ্ধতিতে দুইধরনের Pseudomonas জাতীয় ব্যাকটেরিয়া ৭২ ঘণ্টায় ৬০০ পিপিএম ফেনল ভাঙ্গতে পারে। ব্যাকটেরিয়ার বংশ বিস্তার এবং ফেনল ভাঙ্গার ক্ষমতার তুলনামূলক পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে, বংশ বিস্তারের সাথে সাথে ফেনল-এর মাত্রা কমে যায়
৩.    চিংড়ি খোসা থেকে কাইটিন এবং কাইটোসান তৈরী এবং বিকিরণের মাধ্যমে অণুজীব বিনষ্টকারী পদার্থে রূপান্তর:
৩.১   রাসায়নিক ট্রিটমেণ্টের মাধ্যমে চিংড়ির খোসা থেকে কাইটোসান উৎপাদন এবং পঁচা কমলা থেকে আইসোলেট করা জীবাণু ধ্বংসে এর ব্যবহার। রাসায়নিক ট্রিটমেণ্টের মাধ্যমে কাইটোসান উৎপাদন এবং তা দিয়ে ৩% ল্যাকটিক এসিডে ০, , ১৬ এবং ৩২ kGy মাত্রার কাইটোসান ওলিগোমার দ্রবণ তৈরী করা হয়। ৩২ kGyমাত্রার কাইটোসান ওলিগোমার পঁচা কমলা থেকে পৃথকীকৃত জীবাণুকে ধ্বংস করার কাজে বেশী কার্যকর
৪.    ছত্রাক মিউটেণ্ট ব্যবহার করে lignocellulosic কৃষিজ বর্জ্যকে খাদ্য, পশু খাদ্য এবং জ্বালানীতে রূপান্তর
৪.১   Lignocellulosic জাতীয় কৃষিজ বর্জ্যের ব্যবহার:
10 kGy বিকিরণ প্রয়োগে আখের ছোবরায় অবিকিরিত ছোবরার তুলনায় ৩ গুণ বেশী reducing sugar তৈরী হয়
ঙ.   উদ্ভিদ জীব প্রযুক্তি  জীন প্রকৌশল
অত্র  বিভাগের গবেষণা কার্যক্রম নিম্নবর্ণিত গবেষণা ও উন্নয়ন প্রোগ্রামের আওতায় চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে: (১) ইন ভিট্রো মিউটাজেনেসিস ও ডাবল হ্যাপ্লয়েডের মাধ্যমে কলার উন্নয়ন সাধন (IAEA/CRP)(২) ইনডিউসড  মিউটেশনের মাধ্যমে ধানের গুণগতমান উন্নয়ন (FNCA)(৩) মিউটেশন ও জীব প্রযুক্তির মাধ্যমে ধানের ফলন বৃদ্ধি ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাতের উন্নয়ন সাধন (IAEA/RCA)(৪) টিস্যুকালচার পদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী উদ্ভিদের দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধি এবং (৫) এগ্রোব্যাকটেরিয়াম দ্বারা জিন স্থানান্তরের মাধ্যমে উদ্ভিদের উন্নয়ন ঘটানো 
পরাগধানী থেকে উৎপাদিত কলাগাছের প্লয়ডি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে এদের সকলেই ডিপ্লয়েড । আবার গামারশ্মি প্রয়োগকৃত সবরী কলার শিশু বিটপ থেকে উৎপাদিত নতুন গাছগুলিতে যে ফল এসেছিল সেখানে ফলনে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য  পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। সমুদ্র উপকুলের জেলা থেকে সংগ্রহ করা আসফল জাতের ধানের  M2 বংশধর থেকে নাবি/ভিন্নতর দানা বিশিষ্ট গাছ বাছাই করা হয়েছে। এছাড়া জাপান এটমিক এনার্জি এজেন্সির রেডিয়েশন অ্যাপায়েড বায়োলজি বিভাগ থেকে কার্বন আয়ন বীমের সাহায্যে আসফল ও ইজ-২৯ জাতের ধানের বীজে রেডিয়েশন প্রয়োগ করা হয়েছে যা চলতি বছরে মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষণ করে মূল্যায়ন করা হবেপেপের কঁচি পাতা থেকে সোমাটিক এম্ব্রায়োজেনেসিসের মাধ্যমে, জারবেরা ফুলের ক্যাপিচুলাম থেকে এবং ঔষধী গাছ পূণর্নভার শিশু বিটপ ও পর্বসন্ধি থেকে টিস্যুকালচারের মাধ্যমে চারা উৎপাদন সমভব হয়েছে। এগ্রোব্যাকটেরিয়ামের মাধ্যমে পেপে গাছের জিন স্থানান্তর সমভব হয়েছে যা ট্রান্সজেনিক পেপে গাছের পাতায় এটঝ-জিনের প্রকাশের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে
একাডেমিক কার্যক্রম
থিসিস তত্ত্বাবধান: পি এইচ ডি : ২ জন, এম. ফিল : ১ জন, এমএসসি: ২ জন, বিএসসি (সম্মান): ১ জন
প্রকাশনা: জাতীয় জার্ণালে  ৫ টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে
চ.   বিকিরণ কীটতত্ত্ব  মাকড়তত্ত্ব
বিকিরণ কীটতত্ত্ব ও মাকড়তত্ত্ব বিভাগে প্রধানত: গুদামজাত কৃষিপণ্যের অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আপদ পোকা মাকড় অবদমনে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার সমৃদ্ধ পরিবেশ বান্ধব দমন পদ্ধতির উদ্ভাবন বিষয়ক গবেষণা করা হয় 
১)    বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকা ও উপকূল অদুরবর্তী দ্বীপসমূহে মাছ শুঁকিয়ে শূঁট্‌কী তৈরীকরণ সময়কালের আপদ ব্লো-ফ্লাই, লুসিলিয়া কিউপ্রিনা বন্ধ্যা পোকা প্রযুক্তি প্রয়োগে অবদমন:
সামুদ্রিক মাছ শুকানোর সময়কালের আপদ মাছি লুসিলিয়া কিউপ্রিনা অবদমনের লক্ষ্যে পরিচালিত ব্লো-ফ্লাই এস আই টি পদ্ধতির মাঠ পর্যায়ের সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষার কার্যক্রম খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞা্‌ন ইনষ্টিটিউট চত্ত্বরে ব্লো - ফ্লাই উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের পর পূর্নদ্দোমে এগিয়ে চলছে। ব্লো - ফ্লাই এস আই টি পন্ধতির মাঠ পর্যায়ের সম্ভাব্যতা যাচাই এর গবেষণায় উক্ত প্রতিপালন কেন্দ্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্ণিত সময়ে প্রতিবার ৫ লক্ষ হারে বন্ধ্যা মাছি সোনাদিয়ায় অবমুক্ত করা হয়েছে।  বর্তমানে সোনাদিয়ায় মাসে দুইবার ১০ লক্ষ হারে বন্ধ্যামাছি ছাড়ার ব্যবস্থা করা গেলে ব্লো-ফ্লাই এস আই টি পদ্ধতি কার্যকর হবে মর্মে ধারণা করা হচ্ছে। মাছি উৎপাদন, পরিবহন ও বন্ধ্যামাছি নিয়মিত ছাড়করণের কাজে অর্থসংস্থানের জন্য কমিশনসহ বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে
২)    বিকিরণ, উদ্ভিদ নির্যাস বা রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগে খাদ্য এবং কৃষিজাত পণ্যের পোকা মাকড় মুক্তকরণ :
মিঠাপানির ঝিনুক ও ইউনিওনিকলা প্রজাতির মাকড়ের পোষক/পরজীবী সম্পর্ক নিরুপণের গবেষণা চলছে। একাজে বর্তমানে পরজীবী মাকড় সনাক্তকরণের জন্য পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান  ও আশপাশের জলাভূমি হতে পোষক ঝিনুক লেমিলিডেন্স মারজিনালিজ সংগ্রহপূর্বক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে
৩)    পোকার ঘ্রাণেন্দ্রীয়ের ব্যবহারিক দিক: আপদ পোকা দমন :
গুদামজাত কৃষিপণ্যের আপদ পোকা মাকড় নিয়ন্ত্রণে এদের জীবন চক্রে আলো ও অন্ধকারের প্রভাব নিরুপণ বিষয়ক গবেষণা চল্‌ছে।  ঘ্রাণেন্দ্রীয়ের উপর আলো ও অন্ধকারের প্রভাব নিরুপণের কাজ এগিয়ে চলছে
৪)    পরিবেশ অভিযোজন এবং সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে লেপিডপটেরা বর্গের (প্রজাপতি ও মথ) এর বাস্তব্য বিদ্যার গবেষণা:
লেপিডপটেরা বর্গের মথ ও বাটার-ফ্লাই এর প্রজাতি সনাক্তকরণসহ পোষক গাছ পালার সাথে এদের সম্পর্ক নির্ণয়ের গবেষণা এগিয়ে চলছে। সাভারের বিভিন্ন অঞ্চল হতে পাইরিডি, লাইকেনিডি, স্যাটাইরিডি, প্যাপিলিওনিডি এবং হেসপিরিডি পরিবারের ১৮টি নতুন প্রজাতির প্রজাপতি সংগ্রহ ও সনাক্ত করা হয়েছে
একাডেমিক কার্যক্রম
থিসিস তত্ত্বাবধান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের একজন পি এইচ ডি গবেষক অত্র বিভাগে গবেষণাকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন
প্রকাশনা : দেশীয় জার্ণালে প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের সংখ্যা ৫টি
ছ.   গামা সোর্স            
প্রতিবেদনকালীন সময়ে গামা সোর্স বিভাগ নিম্ন বর্ণিত ইনষ্টিটিউট সমূহের গবেষণা স্যামপলে গামা রশ্মি প্রয়োগের সার্ভিস প্রদান করে। ইনষ্টিটিউটগুলি হল : খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইনষ্টিটিউট (আই.এফ.আর.বি), টিস্যু ব্যাঙ্কিং এন্ড বায়োম্যাটেরিয়েল রিসার্চ ইউনিট (টি.বি.বি.আর.ইউ), ইনষ্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (আই.এন.এস.টি) এবং তাদের যে সমস্ত স্যামপলে বিকিরণ প্রয়োগ করা হয়েছে তা হলো- কাইটোসান সল্যুশন,পেয়ারা,  ফ্রুট ফ্লাই পিউপা, বোন গ্রাফট, টিস্যু গ্রাফট, জিলাটিন সল্যুশন, পলিপ্রোপাইলিন, ব্যাকটেরিয়াল সাসপেনশন,সোডিয়াম এলজাইনেট, ফ্রেশ ফিশ, বায়ো পলিমার, ব্লো-ফ্লাই পিউপা, পলিমার, হাইড্রোজেল, রাবার ল্যাটেক্স  ইত্যাদি
এছাড়াও এই বিভাগ হতে বানিজ্যিকভাবে যে সমস্ত ফার্মাসিউটিক্যালস কোমপনীকে জীবাণুমুক্তকরণে সেবা প্রদান করা  হয়েছে সেগুলি হলো - দি একমি ল্যাবরেটরীজ লিঃ, হার্ভেস্ট ইনফার্টাইলিটি কেয়ার লিঃ, গ্যাকো ফার্মা লিঃ,পলিকন লিঃ, এরিস্টোফার্মা লিঃ, ইবনে সিনা ফার্মা লিঃ, ইলিয়াস এন্টারপ্রাইজ লিঃ, পপুলার ফার্মা লিঃ এবং তাদের প্রোডাক্টগুলি হলো - এমপটি এল্যুমিনিয়াম টিউব এবং প্লাষ্টিক কন্টেইনার, অপারেশনের দ্রব্যাদি এবং পানি,ফার্মাসিউটিক্যাল-এর কাঁচামাল, শেল ড্রেসিং, এমপটি প্লাষ্টিক কন্টেইনার ইত্যাদি। উল্লেখিত সময়ে গামা সোর্স বিভাগ ১০৬৭.০৮৩ সি.এফ.টি প্রোডাক্টে সেবা প্রদান করে ৩,২০,১২৫/- (তিন লক্ষ বিশ হাজার একশত পঁচিশ টাকা) মাত্র রাজস্ব আয় করেছে

1 টি মন্তব্য: