শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

সেমিনারে বক্তারা/ গবেষণার উন্নয়নের ফলে তুঁতপাতার উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: এক সেমিনারে বলা হয়েছে, গবেষণার উন্নয়নের ফলে তুঁতপাতার উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আরো কিছু নতুন জাত উদ্ভাবনের গবেষণা কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এ গবেষণা শেষ হলে বছরে বছরে তুঁতপাতার উৎপাদন প্রতি বিঘায় ১৫০ থেকে ১৬০ মণে উন্নীত করা সম্ভব হবে। গতাকল বুধবার বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের অডিটো-রিয়ামে অনুষ্ঠিত দুটি সেমিনারে এই কথা বলা হয়। সেমিনারে উচ্চ ফলনশীল তুঁতজাত ও রেশম পলুর জাত এবং রেশম চাষের টেকসই প্রযুক্তি সম্পর্কে বিজ্ঞানীগণ আলোকপাত করা হয়। এখানে আরো উল্লেখ করা হয় যে, তুঁতপাতার উৎপাদন বছরে ইতোপূর্বে বিঘা প্রতি ৩০-৪০ মণ ছিল। গবেষণার উন্নয়নের ফলে বর্তমানে তা ১৩০-১৪০ মণে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। আরো কিছু উন্নত জাত উদ্ভাবনের গবেষণা কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
আশা করাযাচ্ছে যে, এ গবেষণা শেষ হলে বছরে তুঁতপাতার উৎপাদন প্রতি বিঘায় ১৫০-১৬০ মণে উন্নীত করা সম্ভব হবে। ১০০টি রোগমুক্ত রেশম পলুর ডিম থেকে ২০-৩০ কেজির স’লে ৬৫-৭০ কেজি রেশমগুটি উৎপাদিত হচ্ছে এবং রেশমগুটির উৎপাদন ৮০ কেজিতে উন্নীত করার গবেষণা চলমান রয়েছে। পূর্বে ১ কেজি কাঁচা রেশম পেতে ১৬-১৮ কেজি রেশমগুটির প্রয়োজন হত। সে স’লে বর্তমানে ৮-১০ কেজি রেশমগুটি থেকে ১ কেজি কাঁচা রেশম পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
এছাড়াও খরা ও প্রতিকূল অবস’া উপযোগী তুঁতজাত ও রেশমকীট জাত উদ্ভাবন ও রেশম শিল্প বিষয়ক গবেষণা কাজ চলছে। এছাড়াও বারেগপ্রই তে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রেশম চাষের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল তৈরি করা হচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। উদ্ভাবিত নতুন জাত ও প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই রেশমচাষীগণ লাভবান হচ্ছেন এবং এর ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা নিশ্চিত হলে দেশে রেশম সমপ্রসারণে আমুল পরিবর্তন সম্ভব হবে মর্মে সকলে মনে করেন। তুঁতচাষের জন্য জমির প্রাপ্যতা ও আবহাওয়া বিবেচনায় নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে রেশম চাষ সমপ্রসারণের গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন বলে সবাই একমত পোষণ করেন। সঠিক পরিকল্পনা ও রেশম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ রেশম উৎপাদনের স্বয়ং সম্পূর্ণ হবে। বাংলাদেশ থেকে রেশম রপ্তানি সম্ভব হবে এবং রেশম নগরী হিসাবে রাজশাহীর ঐতিহ্য ফিরে আসবে বলে সবাই আশা ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (রাবেগপ্রই) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতে রেশম শিল্পের উন্নয়ন ও সমপ্রসারণ ও ডেভেলপমেন্ট এন্ড ট্রান্সফার অব সাসটেইনেবল সেরিকালচার থ্রো আপগ্রেডিং দ্যা রিসার্চ এন্ডট্রেনিং ক্যাপাবিলিটি অব বিস আর টিআই” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় টেকসই রেশম প্রযুক্তি অবহিত করণ ও হস্তান্তর বিষয়ে এই দুটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বারেগপ্রই’র পরিচালক ড. মো: আব্দুল হামিদ মিয়া। প্রবন্ধ উপস’াপন করেন, বারেগপ্রই’র উর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা বিজ্ঞানী ড. মোহা: সাইদুর রহমান ও মুনসুর আলী। সভাপতিত্ব করেন, প্রধান প্রশিক্ষক মো: শওকত আলী । অন্যান্যের মধ্যে আরো উপসি’ত ছিলেন, রেশম বোর্ডের প্রধান সম্পসারণ কর্মকর্তা আবু তাহের এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক বৃন্দ ও রেশমের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন