ভোলাহাটের ঐতিহ্যবাহী রেশম চাষ বিলুপ্তির পথে
বাংলাদেশের সিংহভাগ রেশম উৎপাদনের ভোলাহাটে তাঁত শিল্প না থাকায় রেশম চাষীরা উৎপাদিত রেশমের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় রেশম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন চাষীরা। রেশম চাষীরা জানান, বাংলাদেশের সিংহভাগ রেশম উৎপাদন হয় ভোলাহাটে। অথচ এখানে কোনো তাঁত শিল্প না থাকায় উৎপাদিত রেশম ও সুতা বিক্রির জন্য যেতে হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায়। সে সব জায়গাতে ক্রেতারা তাতের মনমত দাম দিয়ে ক্রয় করলেও সময় মত টাকা পরিশোধ করে না তাদের ইচ্ছের উপর নির্ভর করতে হয়। তারা বলেন, ভোলাহাটে শতাধিক পরিবার এ তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত ছিলো। সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় আজ সবগুলোই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এতে তাঁত শিল্পের কর্মচারীরা বেকার হয়ে পড়ায় তাদের পরিবার নিয়ে যেমন মানবেতর জীবনযাপন করছেন, তেমন রেশম শিল্পের সাথে জড়িত সকল চাষীরা রেশম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। দেশের এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকারি বেসরকারি সংস্থাকে প্রয়োজনীয় অর্থ, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের সুব্যবস্থা করে তাঁত শিল্পকে উজ্জীবিত করতে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তাঁত শিল্পের কর্মচারী ও রেশম শিল্পের সাথে জড়িত সকলে। এদিকে সিল্ক ম্যানুফ্যাকচার এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (সেমাফ) ঢাকা-এর ভোলাহাটের দায়িত্ব প্রাপ্ত নির্বাহী সদস্য আব্দুর রহমান জিন্নাত বলেন, তাঁত শিল্পকে উজ্জীবিত না করলে রেশম শিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, তাঁত শিল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রেশমের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত রেশম চাষীরা তুঁত চাষ ছেড়ে তুঁতের জমিতে বিভিন্ন প্রকার ফসল চাষাবাদ শুরু করেছেন। সরকার দ্রুত হস্তক্ষেপ না করলে ভোলাহাট থেকে রেশম চাষ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন