ধুনটের হাতে তৈরি সিল্ক শাড়ি যাচ্ছে আমেরিকায় | |
![]() | |
ধুনট উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে উন্নতমানের সিল্ক। ধুনট সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প ডিআইডিপি নামের একটি বেসরকারী সংস্থা দীর্ঘদিন থেকে এই এলাকায় রেশম চাষের মাধ্যমে নিজস্ব প্রযুক্তিতে সুতা উৎপাদন করে দামি সিল্ক শাড়ি, বলাকা থান ও মটকা কাপড় তৈরি ও বাজারজাত করছে। এই প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে এলাকার শত শত দুঃস্থ নারী রেশম চাষ এবং কারখানায় কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।
সিল্ক শাড়ীর সুতা তৈরি করতে এলাকার ১৩০ জন দুঃস্থ নারী রেশম চাষ করছে। স্থানীয়ভাবে এদেরকে বসনী বলা হয়। বসনীরা মাত্র একশত টাকায় ডিআইডিপি থেকে ৫০টি রেশম পোকার ডিম (পোলু) ক্রয় করে। প্রতিটি ডিম থেকে সাড়ে ৩ শত পোকা হয়। প্রতিটি পোকা থেকে একটি করে রেশম গুটি তৈরী হয়। গুটিগুলো ১৩০ টাকা কেজি দরে ডিআইডিপির কাছে বিক্রি করে। ৫০টি ডিম থেকে তৈরী ৩ কেজি গুটি ৩,৯০০/- টাকায় বিক্রি হয়। এভাবে বছরে চার বার রেশম চাষ করে অনেক বসনী স্বাবলম্বী হয়েছে। ডিআইডিপি গুটিগুলো তাপে শুকিয়ে রিলিং সেন্টারে সুতা তৈরি করে। তৈরি সুতা দিয়ে বহালগাছা, পেঁচিবাড়ী ও থেউকান্দি গ্রামে অবস্থিত তাঁতে নারীরা কাপড় বুননের পর অবশিষ্ট সুতা ২ হাজার টাকা কেজি দরে অন্যত্র বিক্রি করে থাকে। ধুনট থেকে তৈরি সিল্কের শাড়ী বলাকা থান ও মটকা কাপড় আমেরিকা ও নেপালে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন শহরে এসব কাপড়ের কদর রয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি সিল্ক শাড়ী ১ হাজার থেকে ২ হাজার, মটকা ২ শত ৮০ থেকে ৩ শত টাকা গজ, বলাকা থান কাপড় ৩ শত থেকে ৩ শত ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রেশম চাষ থেকে শুরু করে বসনীরা ছাড়াও চরকা, নাটাই, রিলিং, ববিনকারী ও তাঁত শিল্পে তিন শতাধিক নারী অবসর সময়ে কাজ করে মাসে ১৬/১৭ শত টাকা আয় করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। ডিআইডিপির ব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ জানান, রেশম চাষ থেকে সিল্ক শাড়ি তৈরি প্রকল্পে এলাকার ৩/৪শত দরিদ্র নারী কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। ফলে সংস্থার সুবিধাভোগীদের দারিদ্র্যের হার ৩৭ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। | |
শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
ধুনটের হাতে তৈরি সিল্ক শাড়ি যাচ্ছে আমেরিকায়
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন