
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর ইউপির মধুবন গ্রামের মমতাজ উদ্দীনের পুত্র সাবুল হোসেন ও তার স্ত্রী রুমিচা বেগম দেশীয় সূতার চাহিদা পুরুনের লক্ষে রেশম চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন। ইতিমধ্যে সে উপজেলায় মধুবন এলাকার সরকারী রাস্তার দু'পাশ ঘিরে প্রায় ৭ হাজার তুত গাছ রোপন করেছেন এবং ওইসব গাছ থেকে রেশম গুটি সংগ্রহের কাজ অব্যহৃত রেখেছেন। স্থানীয় রেশম বোর্ড়ের অফিসার খন্দকার লিয়াকত জানান, এই রেশম সূতো ২৪ দিনের মাথায় তৈরী হয়ে থাকে।
প্রতি কেজি সূতো ৩শ টাকায় বিক্রি হয়। প্রথমে এই গুটি সূতো গুলো জয়পুরহাট মিলিফেলিসারে গিয়ে সূতো তৈরী হয় এবং এই সূতো গুলো রাজশাহী রেশম বোর্ডে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে দেয়া হয়। মহাদেবপুর উপজেলার মধূবন ছাড়াও সদরের দাউল বারবাকপুর গ্রামের গাছ পাগল, সাদা মনের মানূষ বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দীন মন্ডল দীর্ঘ দিন থেকে এই রেশম চাষ করে আসছেন বলেও তিনি জানান। এব্যাপারে সাবুল হোসেন জানান, রেশম চাষে উৎসাহ যোগীয়ে ছিলেন পাখি পাগল মুনসুর সরকার। তার প্রেরনায় রেশম চাষ করে নিজে এবং ওই এলাকার আরও ৪ ঘর এখন ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন। সরকারের পৃষ্টপোষকতা পেলে দ্রত এলাকায় রেশম চাষে সাধারন মানুষ ঝোকে পড়বে এবং সূতার অভাব পুরুন হবে বলেও সে মনে করেন। এছাড়াও মধুবন এলাকায় রেশম চাষে ঝোকে পড়েছেন সংকর বর্মন, বাদল বর্মন,রুপেন্দ্রনাথ ভুইয়া প্রমূখ। প্রাপ্ত সূত্রে জানাগেছে, এবার সাবুল হোসেন ৪৫ কেজি, কল্পনা রাণী ২৩ কেজি, বাদল বর্মন ২৪ কেজি এবং রুপেন্দ্রনাথ ১৫ কেজি রেশম গুটি সংগ্রহ করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন