সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

কাপ্তাইয়ে রেশম গবেষণা কেন্দ্রের শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল



Prothom Alo

কাপ্তাইয়ে রেশম গবেষণা কেন্দ্রের শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি | তারিখ: ০৪-০৭-২০১১




রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় বাংলাদেশ রেশম গবেষণা কেন্দ্রের শ্রমিক-কর্মচারী এবং রেশম চাষি গবেষণা কেন্দ্রকে বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগের প্রতিবাদে গতকাল রোববার বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা একটার দিকে রেশম গবেষণা কেন্দ্র থেকে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কাপ্তাই উপজেলা সদরে যান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন বহন করেন। মিছিল শেষে শ্রমিকেরা কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাজেরা খাতুনের কাছে স্মারকলিপি দেন। 
রেশম গবেষণা কেন্দ্রের শ্রমিক সেলিম রানা, রুমা আক্তার ও অনুচিং মারমাসহ কয়েকজন জানান, তাঁরা ২২ বছর ধরে রেশম গবেষণা কেন্দ্রে অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। এই সময়ের মধ্যে রেশম বোর্ডের অধীনেও কাজ করেছেন। রেশম বোর্ডের সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাঁরা ঠিকমতো মজুরি পাননি। তাঁরা দাবি করেন, ২০০৩ সালে রেশম বোর্ড থেকে পৃথক করে রেশম গবেষণা কেন্দ্র করার পর প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হয়। রেশম উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। তাঁরা বেতন-ভাতাও নিয়মিত পাচ্ছেন। 
শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, একটি মহল চক্রান্ত করে গবেষণা কেন্দ্রকে পুনরায় রেশম বোর্ডের সঙ্গে একীভূত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একীভূত হলে তাঁরা চাকরি হারানোর আশঙ্কা করছেন।











রোববার | ১৭ জুলাই ২০১১ | ২ শ্রাবণ ১৪১৮ | ১৪ শাবান ১৪৩২


কাপ্তাইয়ে ইউএনওকে স্মারকলিপি
কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে রেশম বোর্ডের আওতায় একীভূত করার চক্রান্ত প্রতিহত করার দাবিতে কাপ্তাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গত ৩ জুলাই ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে মিছিল সহকারে এ স্মারকলিপি দেয় চন্দ্রঘোনা আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্রের কয়েকশ' শ্রমিক ও চাষি। 
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৬২ সালে রেশম শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। রেশম চাষ সম্প্রসারণে ১৯৭৮ সালে গঠন করা হয় বাংলাদেশ রেশম বোর্ড। তখন রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের অধীনে নেওয়া হয়। বোর্ড প্রতিষ্ঠার ৮/১০ বছরের মধ্যেই দেশে রেশম উৎপাদন মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। বিদেশি সুতার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে দেশের রেশম শিল্পগুলো। বছরের পর বছর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলার পর অবশেষে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড ২০০২ সালে দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী রেশম কারখানা ও ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানা বন্ধ করে দেয়। এ সময় বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের গবেষকদের সৃজনশীল গবেষণা চালানোর পরিবেশ ছিল না। বোর্ডের অযোগ্য নেতৃত্ব, সিবিএর দৌরাত্ম্য, আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতাই প্রতিষ্ঠানের ভরাডুবির কারণ। সে সময় দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো চন্দ্রঘোনা রেশম গবেষণা কেন্দ্রটিও কর্মচঞ্চলহীন নিষ্প্রাণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। এমন পরিস্থিতিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৯৯৭ সালের ১১ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটিকে পৃথকীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আলোকে ২০০৩ সালে রেশম বোর্ড থেকে বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ইনস্টিটিউটকে পৃথক করে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। এতে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে গতিশীলতা ফিরে আসে। পুনরায় একটি মহল এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে একীভূত করে আগের মতো ফায়দা লোটার ষড়যন্ত্র করছে বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। 
আন্দোলনরত কয়েকজন শ্রমিক ও চাষি বলেন, আমরা গত ২০-২৫ বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছি। পৃথকীকরণের পর আমরা প্রতি মাসে নিয়মিত বেতন-ভাতাদি পাচ্ছি। অথচ বোর্ডের অধীন থাকাকালে আমরা ছয় মাসেও বেতন-ভাতা পেতাম না। আবার যদি এটি একীভূত হয় তাহলে আমাদের অবস্থা খুব করুণ হবে। হয়তো অনেকের চাকরিও থাকবে না।
এদিকে স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিকদের পক্ষে খোকন বড়ূয়া, মোঃ সেলিম, আপাইপ্রু, সেলিম রানা, প্রভাত এবং চাষিদের পক্ষে শম্পা বড়ূয়া, রুমা আকতার, নুচিং মারমা, পপি মারমা, সীমা বড়ূয়া ও অনুপমা মারমা।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন